Google Logo
১২০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির দায়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্তৃক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের

মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লি: ৯১ ধউর থানা রোড, তুরাগ, ঢাকা-১২৩০ নামীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বন্ড সুবিধার আওতায় পলি সিনথেটিক ওভেন ফেব্রিক্স কাঁচামাল/পণ্য আমদানি করে অবৈধভাবে অপসারণ করে খোলা বাজারে বিক্রয় করায় ১২০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির দায়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্তৃক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের (মামলা নং-১২/১৭০, তারিখঃ ১৫/০৫/২০১৮ খ্রিঃ, থানা: কোতোয়ালী, ডিএমপি)।

গ্রেফতারকৃত আসামী:        
ক) সৈয়দ আবিদুল ইসলাম, চেয়ারম্যান
খ) জনাব খন্দকার সুরাত আলী, ডাইরেক্টর
০১। অনিয়মকৃত প্রতিষ্ঠানের নাম: মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লি:, ৯১ ধউর থানা রোড, তুরাগ, ঢাকা-১২৩০।
০২। মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লি: এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নাম:
ক) সৈয়দ আবিদুল ইসলাম, চেয়ারম্যান
খ) জনাব মো: মিজানুর রহমান, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর
গ) জনাব খন্দকার সুরাত আলী, ডাইরেক্টর
ঘ) জনাব এম হক বাবু, ডাইরেক্টর ছাড়াও অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন।
০৩। বন্ড লাইসেন্স নম্বর: ১৬১৭/কাস-এসবিডব্লিউও/২০১৪, তারিখ: ১৬/০৬/২০১৪ খ্রি:।
০৪। বন্ডার কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ/অনিয়মের ধরণ:
বন্ড সুবিধার আওতায় পলি সিনথেটিক ওভেন ফেব্রিক্স পণ্য/কাঁচামাল আমদানি করে অবৈধভাবে অপসারণ।
০৫। সংক্ষিপ্ত বিবরণ: গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি গোয়েন্দা টিম গত ২০/০৮/২০১৭ খ্র্রি: তারিখ রাত ১:৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে আগত একটি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-২৮২৩) ইসলামপুর, ঢাকায় পণ্য খালাস করার পূর্বমুহূর্তে গাড়ির চালকের কাছে পণ্যের স্বপক্ষে চালান দেখাতে বলা হলে তিনি পণ্যের স্বপক্ষে বিল অব এন্ট্রি, তানিয়া কার্গো সার্ভিসের ডেলিভারী চালান ও ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির চালান প্রদর্শন করেন। দাখিলকৃত বিল অব এন্ট্রি নং-সি-১০৬০১০৫, তারিখঃ ১৭/০৮/২০১৭ খ্রি: পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, কাস্টমস বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধার আওতায় (আই এম-৭ বি/ই) শুল্কমুক্তভাবে মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাট্রিজ লি:, ৯১, ধউর, থানা রোড, তুরাগ, ঢাকা-১২৩০ নামীয় প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে পলি সিনথেটিক ওভেন ফেব্রিক্স পণ্য/কাঁচামাল আমদানি করা হয়। মেসার্স মাসটেক্স ইন্ডাট্রিজ লি:, ৯১, ধউর, থানা রোড, তুরাগ, ঢাকা নামীয় প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল কেন ইসলামপুরে আনা হয়েছে, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান যে, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম থেকে পণ্য বোঝাই করে গাড়িটি প্রথমে উলিস্নখিত ঠিকানায় নেয়ার জন্য ভাড়া করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকার কাছাকাছি আসার পরে ট্রাক বোঝাই কাপড় ইসলামপুর নিয়ে আসার জন্য বলা হলে তিনি ইসলামপুর নিয়ে আসেন। আই এম-৭ এর মাধ্যমে শুল্কমুক্ত সুবিধার কাঁচামাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ইসলামপুর আনা হয়েছে মর্মে নিশ্চিত হয়ে শুল্ক গোয়েন্দা টীম উক্ত পণ্যসহ গাড়িটি আটক করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সেগুনবাগিচা নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত গাড়ির বিষয়ে তথ্য চাওয়া হলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান যে, পণ্যসহ গাড়িটি গত ২০/০৮/২০১৭খ্রি: তারিখে সিএন্ডএফ এজেন্ট তানিয়া কার্গো সার্ভিস ৯৬০ বি-নাগলেন, গোসাইলডাঙ্গা, বন্দর, চট্টগ্রাম এ বন্দর কর্তৃপক্ষের গেইট-২ এ কাস্টমস গেইট রেজিষ্ট্রার সিরিয়াল নং-১৭ এর মাধ্যমে ফেব্রিক্স ডেলিভারি নেওয়া হয়, যার বি/ই নং সি-১০৬০১০৫, তারিখঃ ১৭/০৮/২০১৭খ্রি: যা আটককৃত পণ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এই প্রেক্ষিতে আলোচ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠালগ্ন অর্থাৎ ০৭/০৪/২০১৪ খ্রি: হতে ২০/০৮/২০১৭ খ্রি: পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানিসহ যাবতীয় কার্যক্রম অনুসন্ধানের নিমিত্তে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, ঢাকা এর অফিস আদেশ নং-০৫/০৭(২০৮)তদন্ত/২০১৭/৩৫০১ তারিখ ৩০/০৮/২০১৭ খ্রি: মুলে ০৬ (ছয়) সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় (কপি সংযুক্ত-১)।

 তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রাথমিক প্রতিবেদন (কপি সংযুক্ত-২) মোতাবেক  আলোচ্য প্রতিষ্ঠানের  প্রতিষ্ঠালগ্ন অর্থাৎ ০৭/০৪/২০১৪ খ্রি: হতে ২০/০৮/২০১৭ খ্রি: পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানিসহ যাবতীয় কার্যক্রম অনুসন্ধানের নিমিত্ত সকল আমদানি বি/ই, রপ্তানির বিপরীতে বিল অব এক্সপোর্ট, প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে ইস্যুকৃত ইউডি ও প্রতিষ্ঠানের লিয়েন ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত পিআরসি সমূহ সংগ্রহ করা হয়। উল্লেখ্য যে, গত ২১.০৮.২০১৭ তারিখে আলোচ্য প্রতিষ্ঠানটি সরেজমিনে ইনভেন্ট্রি করা হয়, ইনভেন্ট্রিতে প্রোডাকশন ফ্লোরসহ সর্বমোট ৯২০৬.৯০ কেজি নীট ফেব্রিক্স দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আর কোন কাঁচামাল দেখাতে পারেননি । প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইস্যুকৃত ইউডি (ইউডি নং, তারিখ, উৎপাদিতব্য পণ্যের পরিমাণ (পিস), আমদানিতব্য কাঁচামালের পরিমাণ (কেজি)), বিল অব এন্ট্রি (বি/ই নং, তারিখ,আমদানিকৃত কাঁচামালের পরিমান), বিল অব এক্সপোর্ট (বিল অব এক্সপোর্ট নং, তারিখ, রপ্তানিকৃত পণ্যের পরিমাণ  (কেজি, পিস) বিশ্লেষণপূর্বক অবৈধভাবে অপসারণের কারণে ১২০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি তথ্যাদি উদঘাটন করা হয়।