Google Logo
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ফ্লাইট নং BG-148 থেকে ৮০টি স্বর্ণবার উদ্ধার

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর অবগত হয় যে, ০৯.১০.২০২১ খ্রিঃ তারিখে দুবাই থেকে চট্টগ্রামগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ফ্লাইট নং BG-148 এর মাধ্যমে স্বর্ণ চোরাচালান সংঘটিত হতে পারে। এর প্রেক্ষিতে বিমান বন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদমত্ম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সতর্কতামূলক অবস্থান গ্রহণ করেন। দুবাই হতে আগত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ফ্লাইট নং BG-148 আনুমানিক সকাল ৮:২৫ ঘটিকায় শাহ আমানত আমর্ত্মজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। একইসাথে আনুমানিক ৯:১০ ঘটিকায় মাসকট থেকে আগত ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স -এর একটি ফ্লাইট এবং ৮:৩০ ঘটিকায় মাসকট থেকে আগত ওমান এয়ারলাইন্স -এর একটি ফ্লাইট বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ইতোমধ্যে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থান নেয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির একজন নিরাপত্তাকর্মী এ্যাপ্রোন এলাকায় সন্দেহজনকভাবে দৌঁড় দেয়। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদমত্ম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ তাকে তাড়া করে ধরে ফেলে। তার নাম বেলাল উদ্দিন। তিনি সিভিল এভিয়েশন অথরিটির সহকারী নিরাপত্তাকর্মী বলে জানা যায়। ধরা পড়ার পরও তিনি জোর জবরদসিত্ম করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অতঃপর উপস্থিত এনএসআই কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিমানবন্দরের অন্যান্য সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তার দেহ তল্লাশি করে কোমরে বেল্টের নিচ থেকে ৩টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্যাকেটগুলো হলুদ স্কটটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। ৩টি প্যাকেটে মোট ৮০টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। মোট ওজন ৯.২৮ কেজি। বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৬.৬৪ কোটি টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জনাব বেলাল উদ্দিন জানান যে, প্যাকেটগুলো টয়লেটে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেখান থেকে তিনি নিয়ে আসেন। স্বর্ণবারসমূহ অবৈধভাবে সরকারি শুল্ককরাদি ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে দেশে আনা হয়েছে যা বিমানবন্দর সীমানার বাইরে পাচার করা হচ্ছিল। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণের কর্মতৎপরতায় চোরাচালান প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।

 

উক্ত আটকের বিষয়ে The Customs Act, 1969 অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা এবং একটি ফৌজদারী মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর (২০২১-২০২২) -এ কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্তৃক এখন পর্যন্ত ৫৪.১১ কেজি স্বর্ণ আটক করা হয়েছে যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩৮ কোটি টাকা। বিগত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ১৭৪.৪৯ কেজি এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১৮০.৩৫ কেজি স্বর্ণ কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্তৃক আটক করা হয়। আরও উল্লেখ্য, গত ০৬/১০/২০২১ খ্রিঃ তারিখে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং- BG-4048 এর টয়লেট থেকে ১২০ পিস, প্রায় ১৪ কেজি স্বর্ণ আটক করা হয়।